Protocols of Application Layer
আমরা এপ্লিকেশন লেয়ার এর প্রোটোকল গুলো একটা ছোট্ট টাস্ক এর মাধ্যমে মনে রাখার চেষ্টা করবো এখন।
টাস্ক : আপনাকে বলা হলো , আপনি আজ বিকাল ৫ টায় সিলেট ব্রাঞ্চের একটা সিসকো রাউটার এ রিমোটলি ঢুকে ভিপিএন কনফিগার করে দিবেন। এটাই আপনার ছোট্ট একটা টাস্ক যেটা আপনাকে ইমেইল এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
আসুন এখন দেখি তাহলে , এই টাস্ক টি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে কখন এবং কি কি প্রোটোকল ব্যবহার করতে হবে।
এই টাস্ক টি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনি প্রথমে আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ওপেন করে দেখুন যে আপনার PC তে IP কনফিগারেশন ঠিক ভাবে রাউটার থেকে পেয়েছে কিনা। অর্থাৎ রাউটার আপনাকে IP , Subnet Mask , Gateway , DNS এর IP ঠিক ভাবে দিয়েছে কিনা।
এটা আসলে কিভাবে সম্ভব ?
আপনার PC যখন আপনি ওপেন করলেন তখন আপনার PC থেকে একটা রিকোয়েস্ট সার্ভার এর কাছে যাচ্ছে এই বলে যে - আপনার উত্তরের তথ্য গুলো দরকার। এটাকে আমরা বলছি DHCP রিকোয়েস্ট। আপনার PC যেহেতু এই রিকোয়েস্ট টি করছে , সো আপনার PC হচ্ছে DHCP ক্লায়েন্ট। DHCP ক্লায়েন্ট এর পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ৬৮।
আর আপনাকে যে সার্ভার এই তথ্য দিচ্ছে সে হচ্ছে DHCP সার্ভার। DHCP সার্ভার এর পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ৬৭।
এখন আপনি আরেকটি বিষয় দেখবেন সেটা হচ্ছে - আপনার পিসির টাইম ঠিক আছে কিনা। কারণ অনেক সময় টাইম ঠিক না থাকলে - ইন্টারনেট পাওয়া যায় না। তো , এই টাইম তা আপনাকে দিবে নেটওয়ার্ক টাইম সার্ভার যেটাকে আমরা NTP সার্ভার বলি। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আপনার পিসির টাইম সার্ভার - windowstimecom। যেটা কিনা মাইক্রোসফট এর NTP সার্ভার। NTP প্রটোকলের পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ১২৩।
এইবার আপনি খুব ভালো করে চেক করে দেখবেন সেটা হচ্ছে আপনার পিসিতে DNS এর আইপি ঠিক ভাবে বসানো আছে কিনা। কারণ আপনি খুব ভালো করেই জানেন - DNS এর আইপি বসানো না থাকলে আপনি ডোমেইন নাম লিখে যতই সার্চ দেন সেটা আসবে না। কারণ DNS এর কাজই হচ্ছে ডোমেইন থেকে আইপি তে কনভার্ট করা। আর আমাদের মেশিন আসলে আইপি দিয়েই একে ওপরের সাথে কন্টাক্ট করে থাকে সব সময়। সো , এই DNS এর পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ৫৩
এইসব ঠিক থাকে থাকলে এখন আপনি ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট আছেন কিনা একবার চেক করে দেখুন। অর্থাৎ আপনি গুগল কে ping করে দেখুন। যদি reply successfully পান , তাহলে বুঝে নিবেন আপনি ইন্টারনেট এ কানেক্ট আছেন। তো এই , পিং করার পেছনে যেই প্রোটোকল কাজ করে সেটা হচ্ছে ICMP , যার পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ৭।
এখন আপনার সব ঠিক থাকে আছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন আপনি ব্রাউজার ওপেন করুন। এখন আপনি জিমেইল ব্রাউস করে লগইন করবেন। কারণ আপনার ইমেইল টি এসেছে জিমেইল এ। তো , এই যে ব্রাউস করছেন আপনি এইটার জন্য কিন্তু ২ টি প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
(১) HTTP যার পোর্ট নম্বর - ৮০ এবং
(২) HTTPS যার পোর্ট নম্বর - ৪৪৩
জিমেইল সিকিউর ওয়েতে আপনার ডাটা গুলো প্রসেস করে , তাই এই ডোমেইন ব্যবহার করে থাকে HTTPS।
আপনি জিমেইল এ লগইন করে দেখলেন আপনার কাছে একটি ইমেইল এসেছে। এই যে আপনার ইমেইল ক্লায়েন্ট ইমেইল সার্ভার থেকে আপনার জন্য একটা ইমেইল ডাউনলোড করে দিলো এইটার জন্য আসলে ব্যাকগ্রাউন্ড এ ব্যবহার হয় ২ টি প্রোটোকল। অর্থাৎ , ইমেইল রিসিভিং এর জন্য ব্যবহার হয় ২ টি প্রোটোকল।
(১) POP3 যার পোর্ট নম্বর -১১০ এবং
(২) IMAP যার পোর্ট নম্বর - ১৪৩
আপনি ইমেইল টি দেখে একটি রিপ্লাই ইমেইল সেন্ড করবেন যিনি পাঠিয়েছেন আপনাকে ইমেইল টি বা যিনি টাস্ক টি সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাকে বলেছেন। এই যে আপনি ইমেইল সেন্ড করবেন এখন , এই জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড এ ব্যবহার হয়ে থাকে SMTP প্রোটোকল। যার পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ২৫
এখন আপনি নির্দিধিস্ত সময়ে আপনার কাজটি করার জন্য সিলেটের ওই রাউটার এ রিমোটলি লগইন করে কাজ করবেন। তো , ওই নির্দিষ্ট সময় যখন আসলো তখন আপনি রিমোটলি লগিনের জন্য putty নামক একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে ঢুকবেন। এই লগইন এর জন্য আপনি ২ টি প্রটোকলের যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন।
(১) TELNET যার পোর্ট নম্বর - ২৩ এবং
(২) SSH যার পোর্ট নম্বর - ২২
Putty Download Link : Click Here for Downloading Putty
তবে আপনি যেহেতু অফিসিয়াল পারপাস এ লগইন করবেন , তাই লগইন প্রসিজার টা সিকিউর থাকাটাই ভালো। আপনার ডাটা কেউ যেন দেখতে বা পড়তে না পরে সেইজন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে SSH প্রোটোকল । টেলনেট ব্যবহার করে লগইন করলে ডাটা প্লেইন টেক্সট আকারে ইন্টারনেট এ যায়। যাতে ডাটা লিক হবার পসিবিলিটি অনেক বেশি থাকে।
এখন লগইন করে আপনার কাজ করলেন মনে করুন। কাজ শেষ হবার পরে আপনি চাচ্ছেন আপনি যা করলেন তার একটা ব্যাকআপ আপনার পার্সোনাল পিসি তেও যেন থাকে। অর্থাৎ , ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি সিলেট এর কোনো রাউটার এর ইনফো ঢাকার আপনার বাসার PC তে ডাউনলোড করে নিয়ে আসবেন। এটি জন্য আপনি FILE Zila নামক সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। যেই সফটওয়্যার দিয়ে আমরা কোনো ফাইল কে আপলোড বা ডাউনলোড করে থাকি। তো এই যে আপনি ফাইল আপলোড বা ডাউনলোড করবেন - এই জন্য ২ টি প্রটোকলের যেকোনো একটি প্রোটোকল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
(১) FTP যার পোর্ট নম্বর - ২০ ও ২১ এবং
(২) SFTP যার পোর্ট নম্বর - ২২
FIlazilla Download Link : Click Here for Downloading FileZilla
আপনি যদি সিকিউর ওয়ে তে ডাটা ট্রান্সফার করতে চান তাহলে SFTP ব্যবহার করবেন। কারণ SFTP প্রোটোকল সিকিউর ওয়ে তে ডাটা ট্রান্সফার করে থাকে কিন্তু FTP প্রোটোকল সিকিউর ওয়ে তে ডাটা ট্রান্সফার করে না। FTP দিয়ে ডাটা ট্রান্সফার করলে ডাটা প্লেইন টেক্সট আকারে যেয়ে থাকে। কেউ চাইলে সেই ডাটা রিড করতে পারে।
আপনি আপনার PC তে ব্যাকআপ রাখার পরে আপনি মনে করলেন যে রাউটার এ আপনি কাজ করেছেন ওই রাউটার এর OS তার ব্যাকআপ আপনি সিলেট অফিস এর লোকাল কোনো সার্ভার এ রাখবেন। এই যে একটা রাউটার এর iOS এর ব্যাকআপ টা আপনি লোকাল ওদের একটা সার্ভার এ রাখছেন ওই সার্ভার কে আমরা বলি TFTP সার্ভার। তো লোকাল এরিয়া তে ছোট কোনো ফাইল (যেমন -রাউটার এর OS ) রাখার জন্য ব্যবহার হবে TFTP প্রোটোকল। যার পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ৬৯।
আলহামদুলিল্লাহ আপনি আপনার টাস্ক টি খুব সুন্দর ভাবে শেষ করেছেন। এই জন্য আপনাকে একটা ধন্যবাদ দেয়াই যায় , কি বলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন। অনেকে আপনাকে রিমোটলি কাজের জন্য সরাসরি রাউটার এর username এবং password কিন্তু আপনাকে দিবে না। তখন আপনাকে রিমোট ডেস্কটপ এর মাধ্যমে কাজ করে দিতে হবে। এই যে আপনি রিমোট ডেস্কটপ (যা মাইক্রোসফট উইন্ডোস এর নিজস্ব ফীচার ) ব্যবহার করছেন - এটিও কিন্তু একটা প্রোটোকল ব্যবহার করছে - প্রোটোকল টি হচ্ছে - Remote Desktop প্রোটোকল - যার পোর্ট নম্বর হচ্ছে - ৩৩৮৯।
মাশআল্লাহ
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteধন্যবাদ।
ReplyDeleteJinish ta ekhon mathay ekdom dhuke gese.
ReplyDeletesei laglo, ato din jantam , but ay task ba golpo ta besi helpfull, jajakumullah khairan..
ReplyDelete